প্রকাশ :
২৪খবর বিডি : ' শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির দ্রুত এবং ক্রমাগত অবনতিতে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক যোগাযোগের কারণেই এ উদ্বেগ। কিন্তু সেটি এখনই প্রকাশ করতে চায় না ঢাকা। বরং পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? সেটি নীরবে পর্যবেক্ষণকেই শ্রেয় মনে করছে বাংলাদেশ।
' সেগুনবাগিচা বলছে, কলম্বোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং তার টিম রিয়েল টাইম বেসিস ঢাকাকে রিপোর্ট করছেন। কোথায় কি ঘটছে? ওপেন সোর্স অর্থাৎ পত্রপত্রিকাগুলো কি লিখছে? কলম্বোতে নিযুক্ত ভিন দেশি পেশাদার কূটনীতিকরা কি ভাবছেন? সংকটের ভবিষ্যৎই বা কি? সেই সব মূল্যায়ন থাকছে বাংলাদেশ মিশনের সিরিজ রিপোর্টে।'
* টানা দু’সপ্তাহ ধরে নিয়মিতভাবে রিপোর্ট আসছে স্বীকার করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, এটি একান্তই শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তৃতীয় পক্ষের দৃশ্যমান কোনো উপস্থিতি নেই, যেমনটা আফগানিস্তানে ছিল। ওই কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন ছিল শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এ খবর এখন বিশ্বময় ছড়িয়ে গেছে। তাছাড়া পশ্চিমা অনেকেই তো পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
'' শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ''
* প্রতিবেশী ভারত, যার আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপগুলো ঢাকার স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুহূর্তে অনেক ক্ষেত্রেই উদাহরণ হিসেবে সামনে রাখা হয়, সেই দিল্লিও তো প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না কেন? জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, আসলে আমরা এ নিয়ে এখনই কোনো স্টেটমেন্ট না দিয়ে বরং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে চাইছি। কারণ একটি ইভলবিং সিচ্যুয়েশনে কোনো বন্ধুর জন্য মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেখানো সত্যিই কঠিন।
' এদিকে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার তরফে হালকাভাবে একটি প্রতিক্রিয়া দেয়ার আলাপ-আলোচনা চলছিল। কিন্তু সর্বশেষ কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা ব্যক্ত করায় সরকার স্টেটমেন্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রে কিছু সময় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। '